স্টাফ রিপোর্টার:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের চৌকুড়ী জাপানন্দী পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রেজ্জাকের ছেলে মীর হোসেন (৬৫) নিখোঁজের একদিন পর ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুঁলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে ওই গ্রামের মাহবুবুল হকের ব্লিডিং ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে রশি দিয়ে ফাঁসি দেয়া অবস্থায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। মীর হোসেন শনিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর মাহবুবুল হকের বিল্ডিং ঘরের সিলিং ফ্যানের হুকের সাথে গলায় রশি দিয়ে ঝুঁলন্ত অবস্থায় মীর হোসেনের লাশ স্থানীয়রা দেখতে পায়। নিহতের মীর হোসেনের বামপায়ে আঘাতের চিহ্নসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরেরও আঘাত রয়েছে। লাশ উদ্ধারের সময় মীর হোসেন উলঙ্গ ছিলেন। তার স্ত্রী, পালিত এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়ন, মীর হোসেন মানসিক রোগী ছিলেন। তাকে দীর্ঘ দিন ধরে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি বলেন, মীর হোসেন আত্মহত্যা করলে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন কেন থাকবে ? এছাড়া মানসিক প্রতিবন্ধী রোগীর রসিতে গিট দিয়ে ফাঁসি দেয়া নিয়েও এলাকাবাসীর মধ্যে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। মীর হোসেনের চৌকুড়ী কলোনি মার্কেট রয়েছে। এছাড়া অনেক জায়গা জমি রয়েছে।
নাঙ্গলকোট থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) কামরুল ইসলাম বলেন, মীর হোসেনের ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি মানসিক রোগী ছিলেন। তাকে চিকিৎসা চলে আসছিল। তিনি বিভিন্ন সময়ে বাড়ির বাহিরে চলে যেতেন। মীর হোসেনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।